অত‍্যধিক ঝড় বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায় জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়লো পূর্ণবয়স্ক হরিণ

29th April 2020 বাঁকুড়া
অত‍্যধিক ঝড় বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায় জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়লো পূর্ণবয়স্ক হরিণ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : অত্যাধিক ঝড় বৃষ্টির ফলে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক হরিণ | বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানার ময়রা পুকুর গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে ময়রাপুকুর এলাকায় একটি ইট ভাটার কাছে আচমকাই চলে আসে একটি পূর্ণ বয়স্ক হরিণ । এই এলাকায় নবাগত প্রানীটিকে দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যায় এলাকার কুকুর । তারপর হরিনটিকে তাড়া করতে শুরু করে এক দল কুকুর । প্রাণ বাঁচাতে ছুটে গিয়ে হরিনটি নেমে পড়ে স্থানীয় একটি পুকুরে । বিষয়টি নজর এড়ায়নি স্থানীয়দের । বন্য প্রানীটির প্রাণ বাঁচাতে কোমর বেঁধে নামেন এলাকার মানুষ । তাঁরাই হরিনটিকে পুকুরের জল থেকে উদ্ধার করে বন দফতরে খবর দেন । দ্রুত বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হরিনটিকে উদ্ধার করে বন দফতরের পাত্রসায়ের রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসে । হরিনটির শরীরে কয়েক জায়গায় ক্ষত থাকায় তার চিকিৎসা শুরু করেছে বন দফতর । 

পাত্রসায়ের রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিংহ জানান প্রাথমিক চিকিৎসার পর রেঞ্জ অফিসে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে | প্রয়োজনে আরো উন্নত চিকিৎসা লাগলে তার ব্যবস্থা করবেন বনদপ্তর | তারপর পুরোপুরি সুস্থ করে হরিণটিকে পুনরায় জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হবে |





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।